ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই বাংলাদেশিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৮৮ জন। আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক।
দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশিদের কটকের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা নিজেদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার পরিস্থিতিতে ছিলেন না।
সেখানকার চিকিৎসক টি সুরেশ কুমার গুপ্তা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুইজন বাংলাদেশি যাত্রী এখানে ভর্তি হয়েছেন। যদিও তাদের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তাদের উভয়ের শরীরের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শরীরের ত্বকের অবস্থা ভালো না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয়কেই উড়িষ্যার কটকে শ্রী রামচন্দ্র ভঞ্জ (এসসিবি) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা কবলিত বাংলাদেশিদের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
বাংলাদেশী যাত্রীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা করে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কার্যালয় শুক্রবার রাতেই একটি বিবৃতি দেয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনা কবলিত কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে অনেক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করেন। এই বিবেচনায় ওই দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা।
এছাড়াও দুর্ঘটনা কবলিত বাংলাদেশিদের তথ্যের জন্য উপ-হাইকমিশনের হটলাইন নম্বরে (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩) যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয় বিবৃতিতে।
সাধারণত করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি করে প্রচুর বাংলাদেশি ভেলোরে যান চিকিৎসা করাতে। কলকাতা হয়ে যারা চেন্নাইতে চিকিৎসা করাতে যান, তাদের অন্যতম বাহন এই ট্রেনটি। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বহু রোগীরও আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পড়াশোনার উদ্দেশ্যেও কলকাতা হয়ে চেন্নাইতে যান অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।