আজ সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাংবাদিকদের উপুর্যপুরি প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় আইনমন্ত্রীর শব্দ চয়নে ভূল হয়েছে। এই বিভ্রান্তি দুর করার জন্য মন্ত্রীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে প্রকৃত ব্যাখ্যা পাঠানো হয়েছে।
ব্যাখ্যার হুবুহ নীচে তুলে ধরা হলো, ‘ নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারী সিস্টেম অব গভর্ণমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে, তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোন অস্পস্টতা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবধিকার কাউন্সিলের একজন রিপোর্টার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে মাননীয় আইনমন্ত্রী বলেন, এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করিনা। তারা এই বক্তব্য দেয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন মিসইউজ ও অ্যাবিউজ হচ্ছিলো তখনই কিন্ত আমি বলেছি যে, এটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের মিসইউজ ও অ্যাবিউজ বন্ধ করা প্রয়োজন। ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিস্কারভাবে বলেছি যে, এই মিসইউজ ও অ্যবিউজ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে। এটা কারও প্রেসক্রিপশনের উপর নির্ভরশীল না। আমরা যখন মনে করেছি যে, মিসইউজ হয়েছে, আমরা স্বীকার করেছি এবং সেই মিসইউজকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি’।