বাইকপ্রেমীদের কাছে নিজের বাইক কাছের মানুষের মতোই। তাই তো সারাক্ষণ যত্নআত্তিতেই রাখেন শখের মোটরবাইকটিকে। সামান্য অবহেলা পেলেই যেন বাইকটি মন খারাপ করে বসে। অবহেলা এবং সঠিকভাবে নিয়মিত পরিচর্চা না করলে বাইকের নানান সমস্যা দেখা দেয়।
মাঝে মাঝেই শখের মোটরসাইকেল ভালো মাইলেজ দিচ্ছে না! এদিকে পেট্রোলের দাম আকাশ ছোঁয়া। চিন্তায় কপালের ভাঁজও দীর্ঘ হচ্ছে আপনার। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে বাইকের মাইলেজ ভালো পাবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-
নিয়মিত বাইকের সার্ভিসিং করাতে হবে। ইঞ্জিনের সার্ভিসিং করালে একদিকে যেমন ইঞ্জিনের আয়ু অনেকটাই বৃদ্ধি পায়, তেমনই মাইলেজও ভালো দেয়। তাই অবশ্যই কিছুদিন পর পর অভিজ্ঞ মেকানিককে দিয়ে বাইকটি অবশ্যই সার্ভিসিং করান।
এক- হঠাৎ যদি বাইকের অ্যাকসেলারেটরে পা দেন, সেক্ষেত্রে ইঞ্জিনের আরপিএম বৃদ্ধি পায়। ফলে পেট্রোলও খরচ হয় বেশি। এমনকি জোরে ব্রেক করলেও অনেক সময়ই বাইকের তেল বেশি পোড়ে। কাজেই নিরাপদ দূরত্ব থেকে ব্রেক করুন।
দুই- সবসময় একটি নির্দিষ্ট গতিতে বাইক চালান। অনেক বাইকেই স্পিডোমিটারে ইকোনমি স্পিড চিহ্নিত করা থাকে। সেই নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যেই বাইকের স্পিড রাখুন।
তিন- বাইকে কার্বুরেটর ইঞ্জিন সবসময় পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন। কার্বুরেটরে যদি সঠিক টিউনিং না থাকে বা তাতে যদি ময়লা জমে যায়, সেক্ষেত্রে মাইলেজ অনেকটাই কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
চার- বাইকের টায়ারে সবসময় একটি নির্দিষ্ট টায়ার প্রেসার বজায় রাখুন। তবে অতিরিক্ত টায়ার প্রেশারের ফলে যেমন আপনার বাইকের টায়ারটি ফেটে যেতে পারে, অন্যদিকে টায়ারে প্রেশার কম থাকলে বাইকের ইঞ্জিনের উপর বেশি চাপ পড়বে। সেক্ষেত্রে বাইকের মাইলেজ বেশ কিছুটা কমবে।
পাঁচ- বাইকের ভালো মাইলেজ পেতে আরেকটি ব্যাপার সবসময় খেয়াল রাখুন। তা হচ্ছে সঠিক তেল ব্যবহার। ভেজাল বা মিক্সট পেট্রোল ব্যবহার করবেন না। এতে বাইকের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সূত্র: বাজাজ অটো ফাইন্যান্স