চলতি বছরের ২৪ মে পর্যন্ত দেশে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। মজুত খাদ্যশস্যের মধ্যে চাল ১২ দশমিক ২৫ টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ টন এবং ধান ৯ হাজার টন। জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্য মজুত বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৪ লাখ টন ধান ও ১২ দশমিক ৫০ টন চালসহ চাল আকারে মোট ১৫ দশমিক ১০ লাখ টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে।
অধিকতর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ টন গম আমদানি করা হয়েছে বলে সরকারপ্রধান জানান।
মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সালের পর থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি কোটা ফ্রি সুবিধা পাবে না। এতে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে ভারতের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সিইপিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জিডিপি ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।