ঢাকার নবাবগঞ্জে গরু চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো বুধবার (৭ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাহ্রা ঋষিপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার কোমরগঞ্জ এলাকার মৃত সাহেব বেপারীর ছেলে শহীদ বেপারী ওরফে বাবুর্চী শহীদ (৪৮), বাহ্রা পশ্চিম পাড়ারের মৃত বারেকের ছেলে মো. পাপ্পু (৩৫), একই এলাকার বাক্কাছ মোল্লার ছেলে মো. শামীম মোল্লা (৩৩)।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় নবাবগঞ্জ থানা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দোহার সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গেলো (২৮ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার আগলা টিকরপুর গ্রামের বিধান সরকারের গোয়াল ঘর থেকে একটি গাভি চুরি হয়ে যায়। এরপর তিনি গাভীটি খুঁজতে থাকে। ৩০ মে সকালে বিধান সরকার তার আরেকটি বাছুর বসতবাড়ির উঠানে আম গাছের সাথে বেধে রেখে হারিয়ে যাওয়া গাভী খুঁজতে আবারও বাহিরে যায়। দুপুরে তিনি বাড়িতে এসে দেখে বাছুরটিও নিয়ে গেছে চোরেরা। ওইদিন বিকেলে নবাবগঞ্জ থানায় বিধান সরকার বাদী হয়ে মামলা করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এর দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপসঃ ও ট্রাফিক দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে এবং সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম নেতৃত্বে নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. আশফাক রাজীব হাসান সহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল-আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চুরির সঙ্গে জড়িত ৩ জন আসামিকে মামলা হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেন এবং চোরাই গরু উদ্ধার করেন।
এএসপি আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে অনেক চাঞ্চল্য তথ্য পাওয়া গেছে। তারা গরু চুরি ও চোরাই গরু ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। কশাইদের কাছে থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে চোরাই গরু বিক্রি করতেন বলেও জানান তারা।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন,উদ্ধার করা গাভীটিকে মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বাছুরটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে এবং গ্রেপ্তাতকৃতদের ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।