ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। এ সময় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সীমান্ত হত্যা, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, আহত করা, আটক করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) সকালে ভারতের নয়াদিল্লিতে ৪ দিনব্যাপী (১১-১৪ জুন) ৫৩তম এই সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিএসএফের মহাপরিচালক ড. সুজয় লাল থাওসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
বিজিবি জানায়, এবারের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, আটক করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও ভারত থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান, আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ; সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অনুমোদনহীন উন্নয়নমূলক অবকাঠামো নির্মাণ এবং বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ নিষ্পত্তি; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়; বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতীয় টেলিকম নেটওয়ার্কের বিস্তার রোধের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আগামী ১৪ জুন সীমান্ত সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। ওইদিনই বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে ফিরবে।