অভিযান-১০ ট্র্যাজেডিতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা। এর মধ্যে আটজনকে শনাক্ত করে লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনরা।
তবে ২৯ লাশ শনাক্ত করার মতো অবস্থায় না থাকায় ডিএনএ রাখা হয়। এরপর গণজানাজার মাধ্যমে তাদের দাফন করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ (২৫ ডিসেম্বর) শনিবার বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউজ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
ঝালকাঠি থেকেই বরগুনার চারটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঝালকাঠি থেকে ৩৩ লাশ বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সদর উপজেলার নলটোনা গ্রামের এক যাত্রীর লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। এরপর দাফনের আগে আরও তিন লাশ শনাক্ত করে স্বজনরা নিয়ে যান।
গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০। এটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে আসছিলো।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযান-১০ ট্র্যাজেডিতে নিহত এবং আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বরগুনার নাগরিক। ইতোমধ্যে পাঁচ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানাজার মাঠে আরও তিনজনকে শনাক্ত করে তার পরিবার। তাই তাদের মাঠেই লাশ হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ২৯টি মরদেহ শনাক্ত করার মতন অবস্থায় না থাকায় সম্মিলিত জানাজার মাধ্যমে পোটকাখালিতে লাশ দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
এসআই/