আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

৪ ভাই মিলে প্রেমিককে খুন

৪ ভাই মিলে প্রেমিককে খুন

রাজধানীর ডেমরায় খুন হন নওগাঁর সোহেল রানা। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা পুলিশের।

কারণ কারও সঙ্গে ছিল না তার বিরোধ। তবে কেন এ হত্যাকাণ্ড? ঘটনার ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে খুনের নেপথ্যে আছে পরকীয়ার সম্পর্ক। আপন চার ভাই ও তাদের একজনের স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর উন্মোচিত হয়েছে ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য।

 রাজধানী ডেমরার বক্সনগরের একটি নির্মাণাধীণ সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ২৬ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর জানা যায় মরদেহ নওগাঁর সোহেল রানা নামে এক যুবকের।
 
ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। ফোন রেকর্ড পর্যালোচনা করে পুষ্প আক্তার নামের এক নারীর সন্ধান পায় তারা। পিরোজপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী আল আমিন ও তার তিন ভাইসহ মোট পাঁচজনকে।

জিজ্ঞাসাবাদে পুষ্প জানায়, নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় কাজের সুবাদে পরিচয় হয় সোহেলের সঙ্গে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হলেও দুজনেরই বিয়ে হয় আলাদা জায়গায়। বিয়ের পর পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান দুজন। বিষয়টি জেনে ফেলে স্বামী আল আমিন। পরিকল্পনা করা হয় সোহেলকে হত্যার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলী বলেন, আল আমিন হলো পুষ্প আক্তারের স্বামী। আল আমিনের ভাই রুহুল আমিন মূলত হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত করে আর তাকে সহযোগিতা করে তারা।  

পুলিশ বলছে, সোহেলকে খুন করার পর তার লাশ গুম করার চেষ্টা করেছিল পুষ্পের স্বামী ও তার তিন ভাই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ৪ | ভাই | মিলে | প্রেমিককে | খুন