কঠোর বিধি-নিষেধে আজ সোমবার পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে দিঘা। অথচ সমুদ্র শহরে গতকালও কোলাহলে ভরপুর। পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার।
বর্ষবরণের সময় থেকেই পর্যটকরা ভিড় করেছিলেন দিঘায়। কিন্তু তাল কেটেছে গতকাল রাজ্যের ঘোষণায়। ঘোষণার পর থেকেই দিঘা ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকেই। সোমবার সকালেও সেই পর্ব চলেছে।
ফলে এক লাখের বেশি পর্যটক যেখানে ছিলেন সেই এলাকা এখন খাঁ খাঁ করছে। মাত্র এক দিন আগেও যেখানে ভিড় ছিল, সেই জায়গা এখন জনশূন্য। হাতে গোনা কয়েক জন পর্যটক অবশ্য রয়েছেন। তবে তারা প্রশাসনের কড়াকড়িতে সৈকতের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকে পর্যটক রোববার এসেছিলেন দিঘায় কয়েকটা দিন কাটানোর জন্য। তারাও হোটেল ছেড়ে সোমবার সকালেই বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে আবার সপ্তাহ ব্যাপী হোটেলে থাকার জন্য আগাম বুকিং রেখেছিলেন। সেই বুকিংও আপাতত বাতিল হয়েছে।
ভারতে সাত দিনে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি ৪৩১%! শীর্ষে মহারাষ্ট্র, পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের ঘোষণা মতো, সোমবার সকাল থেকেই জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। যেখানে স্পষ্ট করেই পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে হোটেলে পর্যটক আসতে পারবেন না এমন কোনো নির্দেশনা জারি হয়নি। তার জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে পর্যটক থেকে হোটেল ব্যবসায়ী সবার মধ্যেই। জেলা প্রশাসন অবশ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমুদ্র পাড়ে কাউকে যেতে দেয়া হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। পরিস্থিতি না ঠিক হলে প্রশাসন আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। হঠাৎ এই ছন্দপতনে হতাশ ব্যবসায়ীরা।
এস
