রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা এলাকায় মধ্যরাতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক তরুণী ও এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও এক শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই প্রাইভেটকারসহ চালককে আটক করা হয়েছে।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক প্রাইভেটকার জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- জান্নাত আক্তার (১৮) ও শামীম (৩৫)। এ ঘটনায় আহত হয় শিশু সাদিয়া আক্তার (৮)।
শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় প্রাইভেটকারের চালককে আটক করা হয়েছে। নিহত তরুণী ও যুবকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চালক মদ্যপ ছিলো কি না- জানতে চাইলে হুমায়ুন বলেন, গাড়িটি দ্রুতগতির ছিল। চালক মদ্যপ ছিলেন না। তবে চালকের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে হাসপাতালে নেয়ার পর জান্নাত আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার বাবার নাম মো. বাহার উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায়। ঢাকার একটি কলেজে সদ্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামীম (৩৫)।
আহত সাদিয়ার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় শ্বশুরের বাসায় দাওয়াত ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত দুইটার দিকে আমার ও ভায়রা ভাই শামীমের মোটরসাইকেলে করে ভাষানটেক এলাকার বাসায় ফিরছিলাম।
তিনি বলেন, দুই মোটরসাইকেলের একটাতে আমার স্ত্রী, দুই ছেলে ও আমি ছিলাম। অন্যটিতে ভায়রা শামীম, আমার মেয়ে সাদিয়া ও শ্যালিকা জান্নাত ছিলো। কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবের সামনে আসার পরেই ৯ থেকে ১০টি প্রাইভেটকার রেসিং করতে দেখা যায়। হঠাৎ পেছন থেকে একটি দ্রুতগতির প্রাইভেটকার শামীমের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সবাই। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসক জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন শামীম সকালে মারা যান। সাদিয়া এখনো চিকিৎসাধীন।