আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আবারো ফেডারেশন কাপের রাজা ঢাকা আবাহনী

আবারো ফেডারেশন কাপের রাজা ঢাকা আবাহনী

শুরুর দিকে আবাহনীকে চেপে ধরলো রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। ফেডারেশন কাপের রেকর্ড শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতায় ভরা আকাশী-নীলরা নিজেদের গুছিয়ে নিলেন একটু একটু করে। মাঝপথে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও পেয়ে যায় তারা। ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া রহমতগঞ্জের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে মুকুট পুনরুদ্ধার করলো মারিও লামোসের শিষ্যরা। 

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার (০৯ জানুয়ারি) ফাইনালে ২-১ গোল ব্যবধানে জিতেছে আবাহনী। দুই মৌসুম পর প্রতিযোগিতাটির শিরোপা ফিরে পেলো ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে সফল এবং ঐতিহ্যবাহী দলটি।

১১টি শিরোপা নিয়ে আগে থেকে ফেডারেশন কাপের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন ছিলো আবাহনী। রেকর্ডটিকে আরেকটু উঁচুতে তুললো নাবীব নেওয়াজ জীবনের দল। এবার সেই রেকর্ড ১২'তে নিয়ে গেলো আবাহনী। ​২০১৯-২০ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার মধুর প্রতিশোধও নিলো তারা।

শুরু থেকে উজ্জীবিত ফুটবলের পসরা মেলল রহমতগঞ্জ। আবাহনীর শুরুর স্কোয়াডে চোটের কারণে দুই ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল অগাস্তা  ও দোরিয়েলতন গোমেজের রদ্রিগেজের অনুপস্থিতি বেশ ভালোই কাজে লাগায় তারা। 

দ্বাদশ মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণে ওঠে রহমতগঞ্জ। খন্দকার আশরাফুল ইসলামের বাড়ানো পাস নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সানডে চিজোবাকে আটকাতে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। একটু তাড়াহুড়ো করে নেওয়া নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের শট যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।

আবাহনী প্রথম ভালো আক্রমণ শানায় ২৮ মিনিটে। জুয়েল রানার হেড পাস খুঁজে নেয় ছোট ডি-বক্সের ডান দিকে অরক্ষিত নাবীব নেওয়াজ জীবনকে। কিন্তু গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান তুষারকে একা পেয়েও জীবন ক্রসবার উড়িয়ে মারেন। 

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবাহনী এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে ড্যানিয়েল কলিনদ্রেসের গোলে। ম্যাচের দৃশ্যপটও বদলাতে থাকে এরপরই। রাকিব হোসেনের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে বা-পায়ের প্লেসিং শটে কাছের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন কোস্টারিকার এই স্ট্রাইকার। 

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর খেলায় গতি বাড়ে। ৪৯ মিনিটে বক্সের কোণা থেকে কলিনদ্রেসের কোনাকুনি ভলি দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুই মিনিট পর এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট অল্পের জন্য উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।

৬৪তম মিনিটে পায়ের কারিকুরিতে এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে দূরপাল্লার শট নেন নুরুল নাইম ফয়সাল। তুষার ফিস্ট করে ফেরানোর পর বল বক্সেই পেয়ে যান রাকিব। দুই টোকায় একটু এগিয়ে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড।

ছয় মিনিট পর ঘুরে দাঁড়ায় রহমতগঞ্জ। শাহরিয়ার বাপ্পীর দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বাড়ানো থ্রু পাস ধরে ডিফেন্ডার মামুন মিয়াকে কাটানোর পর ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক শহিদুলের বাধা পেরিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আজাহ। 

বাকি সময়ে আবাহনী বল পায়ে রাখার দিকে মনোযোগী ছিল বেশি। রহমতগঞ্জও পায়নি মরিয়া হয়ে ওঠার সুযোগ। তাতে দলটির একটি শিরোপার আপেক্ষা বাড়ল আরও।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আবারো | ফেডারেশন | কাপের | রাজা | ঢাকা | আবাহনী