ভুল চিকিৎসা ও অবহেলাজনিত কারণে মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তকারী দল।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর গ্রিন রোডের হাসপাতালটি যায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৫ সদস্যের তদন্ত দল। অভিযান শেষে তদন্তকারী দলের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
তদন্তকারী দলে রয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সচিব, রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ বি এম মাকসুদুল আলম, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অবস অ্যান্ড গাইনির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আফরোজা কুতুবী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রার ডা. লিয়াকত হোসেন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আদনান শেখ।
এদিন সকাল ১০টায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রবেশ করে তদন্তকারী দলটি। এরপর তার গাইনি বিভাগ, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন। এ বিষয়ে তদন্ত দলের সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।
এর আগে গেলো ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে। সে সময় ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত না থাকলেও কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন।
পরে অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। পরদিন মারা যায় শিশুটি। গেলো ১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আঁখিও।
গেলো ১৪ জুন ধানমণ্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, ডা. সংযুক্তার সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। মামলার পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।