বৃষ্টির পানিতে ভিজবেন না ভাবলেও দু-এক পশলা জল মাথায় পড়েই যায়। এমনি সময়ে বাইরে খাওয়াদাওয়া করলে যত না পেটের সমস্যা হয়, এই সময়ে ঠিক তার উল্টো। খাবারের মাধ্যমে, বায়ুবাহিত হয়ে এই ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়াগুলি শরীরে প্রবেশ করলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সব রোগের মোকাবিলা করতে গেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত হওয়া জরুরি। শুধু খাবার খেয়ে এই প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলা যায় না। তার জন্য ভরসা রাখতে পারেন বেশ কয়েকটি ফলের উপর।
১. কাঁঠাল : কাঁচা অবস্থায় এঁচোড় বা পাকার পর কাঁঠাল- যে ভাবেই খান না কেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল।
২ জাম : ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর জাম লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। হার্ট ভাল রাখে। বর্ষাকালে ভাইরাসঘটিত নানা রকম পেটের রোগ হয়, তা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে জাম। আয়ুর্বেদে বলছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ফল।
৩. আমলকি : ভিটামিন সি-এর প্রাকৃতিক উৎস হল আমলকি। প্রতিরোধ শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এই ফল। বৃষ্টির জলে ভিজে সর্দি-কাশি হলে, ভাইরাসঘটিত সংক্রমণের থেকে বাঁচতে প্রতি দিন একটি করে আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৪. আতা : ফাইবারের সমৃদ্ধ আতা, হজমে সাহায্য করে। নিয়মিত আতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ফল ত্বকের জেল্লা বজায় রাখে। বিভিন্ন খনিজ এবং ভিটামিন এ-তে ভরপুর আতা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৫. বেল : প্রোটিন এবং ভিটামিনে ভরপুর বেল, পেটের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে বেল। আয়ুর্বেদ বলছে, রক্তে ‘খারা ‘ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বেল খাওয়া উচিত।