আর্কাইভ থেকে বিএনপি

নেতাদের ফোন হ্যাক করা হচ্ছে: ফখরুল

নেতাদের ফোন হ্যাক করা হচ্ছে: ফখরুল
পকেটের টেলিফোনটাই এখন বড় শত্রু। ফোনে কথাবার্তা সবকিছুই এখন নজরদারিতে। ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি এনে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করছে সরকার। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ইসরায়েলি প্রযুক্তি পেগাসাস ব্যবহার করে সরকার বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করা হচ্ছে। বিরোধী দলকে দমনের জন্য এবং বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে তারা (সরকার) এটা করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। ইসরায়েলের সাবেক এক গোয়েন্দা কমান্ডার পরিচালিত কোম্পানি থেকে নজরদারির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশ সরকার কিনেছে বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক সংবাদ প্রকাশ করেছিল। ইসরায়েলি পত্রিকাকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এ খবর প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের কোনো কেনাকাটার খবর তখন অস্বীকার করেছিল। এখন বিএনপি মহাসচিব ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি এনে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করার অভিযোগ তুললেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ মেটাতে সংলাপের বিষয় এখন আলোচনায় আসছে। সে প্রসঙ্গেও কথা বলেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের বিষয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম। কিন্তু বোকা বানিয়ে দিয়েছিল। ফলে এদের সঙ্গে সমঝোতা করা যায় না? সমঝোতা করে লাভ হবে না, এরা আবার প্রতারণা করবে।’ ২০২৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণও তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি প্রশ্ন করেন, কীভাবে আশা করেন এই অবস্থায় এই সরকারের অধীনের নির্বাচন হলে মানুষ ভোট দিতে পারবে? মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নির্বাচন থেকে বিরোধী দলগুলোকে সরে যাওয়ার জন্য চক্রান্ত শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হচ্ছে আগের মামলাগুলোর বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ২০১১ সালের ১০ মে বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছিল।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নেতাদের | ফোন | হ্যাক | করা | হচ্ছে | ফখরুল