খুব তাড়াতাড়ি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘আমরা যদি বুঝি- মানুষের পুঁজি বিপদে পড়বে না, সঙ্গে সঙ্গে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেবো।’জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভবনা নিয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘খুব শিগগির একটু শক্ত অবস্থান দেখতে পেলে, তখন আমরা যদি বুঝি মানুষের পুঁজির নিরাপত্তা বা অনুভব করি বিপদে পড়বে না, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেবো। খুব তাড়াতাড়ি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার চেষ্টা আমাদের মধ্যে আছে।’
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘অর্থনীতিতে একটা মহাবিপর্যয় আসতে যাচ্ছে, এটা আমরা বুঝতে পাচ্ছিলাম। তখনি আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম রিজার্ভের সঙ্গে সঙ্গে এক্সচেঞ্জ রেট ভোলাটিলিটি। এ কারণে আমাদের (শেয়ারবাজার) ইনডেক্স কমে যাওয়া শুরু করে। আমরা তখন আমাদের বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরপত্তার কথা প্রথমে বিবেচনা করি। তখন যে অবস্থা তাতে আমার লাভ-ক্ষতির চিন্তা করবো না।’
তিনি বলেন, আগে মানুষের পুঁজিটা নিরাপদ করে দিতে হবে। সেই কারণে আমরা চাইনি যে, এমন কোনো ঘটনা ঘটুক, সেটা আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে আসুক। সে কারণে ইচ্ছা না থাকা স্বত্ত্বেও আমরা সেসময় ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেই। আমরা কখনো চাইনি ফ্লোর প্রাইস দিতে।’
তিনি আরো বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট টেকনিক্যাল বিষয় এটা খুব কম মানুষ বোঝে। আমরা ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। দেশের প্রতিটি বিভাগ আমাদের কাভার করা শেষ, এখন জেলাগুলোতে আমরা বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। বিদেশেও আমরা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিং এবং ইনভেস্টমেন্ট যোগাড় করছি।
সরকারি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার বিষয়ে অধ্যাপক শিবলী বলেন, ২৬-২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা সরকারের কাছে দিয়েছি। বলেছি, এ প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আসা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছেও দিয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে শিগগির বসবো।