রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ওচা রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রায় ৯ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় থাকার পর মঙ্গলবার রাজনীতি ছাড়ার এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে সহিংস অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার হটিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা গ্রহণ করেন দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রায়ুত। দেশটির নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
সেনা-সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি গত ১৪ মের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তার এই ঘোষণা বহুল প্রত্যাশিতই ছিল। ওই নির্বাচনে সংসদের ৫০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩৬টিতে জয় পেয়েছিল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি।
দেশটিতে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রায়ুত চ্যান ওচা তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন ৬৯ বছর বয়সী প্রায়ুত ।
থাইল্যান্ডের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাজতন্ত্রের কট্টর অনুসারী প্রায়ুত ২০১৯ সালের বিতর্কিত এক নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতায় থাকার পথ দৃঢ় করেছিলেন। ওই নির্বাচনের ফল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজানো ছিল বলে দেশটির বিরোধী রাজনীতিকরা দাবি করেন। এর মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকার বিরল নজিরও গড়েন সাবেক এই সেনাপ্রধান।
তবে প্রায়ুত চ্যান ওচা বিরোধীদের অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি থাইল্যান্ডের প্রিয় জনগণের স্বার্থে জাতি, ধর্ম, রাজতন্ত্র রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করেছি। যা বর্তমানে জনগণের জন্য ফল বয়ে আনছে। আমি স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য দেশকে সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রতিবন্ধকতা জয় করেছি।’
থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে ভোটাভুটির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদে অধিবেশনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার মাঝেই ওচার রাজনীতি ছাড়ার এই ঘোষণা এসেছে।