অল্প রানের তাড়ায় খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র দুই রানেই খালি হাতে ফিরে যান নাইম শেখ। এর ক্রিজে এসে টিকতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তও তিনিও মাত্র ১১ রান করেই ফিরে যান।
তবে এর পরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ৩৯ রানে সাকিব আউট হয়ে গেলেও অর্ধশতক তুলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিটন। এইজয়ে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচলো টাইগাররা।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধূরী স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারের মাত্র ৩ রানের মাথায় আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ৬ রান করা ইব্রাহীম জাদরানকে ফেরানোর পর ওই ওভারেই খালি হাতে রহমত শাহকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল।
এরপর দলীয় ১৪ রানের মাথায় ওপেনার গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। টিকতে পারেননি মোহাম্মদ নবী। দলীয় স্কোরে ১ রান যুক্ত হতেই তিনিও শিকার হন শরিফুলের।
শরিফুল-তাসকিনের পর আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। নাজিবুল্লা জাদরানকে ১০ রানেই ফিরিয়ে দেন সাকিব। এরপর হাসমতউল্লাহকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। আউট হওয়ার আগে আফগান অধিনায়ক করেন ২২ রান।
আফগানদের দলীয় ৬৮ রানের মাথায় আবার আঘাত হানেন শরিফুল। এবার তাঁর শিকার আব্দুল রহমান। ৩০ বল খেলে উইকেটে থিতু হবার চেষ্টা করেও টিকতে পারেননি জিয়াউর রহমান। মাত্র ৫ রান করেই তাইজুলের শিকার হন। একের পর এক ব্যাটারের যাওয়া আসা চলতে থাকলেও অর্ধশতক তুলে নেন আজমউল্লা। ৫৬ রান করে তিনি আউট হলে আফগানদের ইনিংসও থেমে যায় ১২৬ রানে।