মেহেরপুরের গাংনীতে খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) রাতে এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন একই পরিবারের আরও চারজন।
নিহত ৬০ বছর বয়সী মোমিনুর ইসলামের বাড়ি গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামে।
অসুস্থদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, সোমবার রাতে মোমিনুর ইসলামের পরিবারের লোকজন মাছ ও মাংস দিয়ে ভাত খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভোরে মোমিনুর, তার স্ত্রী ছায়েরা বানু, ছেলে শামীম রেজা সুমন, শামীমের স্ত্রী মমতাজ পারভীন ও তাদের শিশুপুত্র গালিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরিবারের অন্যান্য লোকজন তাদের সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাকালে রাতে মোমিনুরের মৃত্যু হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মারুফ আহম্মেদ জানান, ভর্তি হওয়া পাঁচজন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি চারজনকে পরিবারের লোকজন রাতেই গাংনী থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে ওই পাঁচজন অসুস্থ হয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন।
অসুস্থ মমতাজ খাতুনের ভাবী গাংনী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘রোগীর অবস্থা খারাপ হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে মোমিনুর ইসলাম মারা গেছেন।’
অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মারুফ আহম্মেদ বলেন, ‘সারা দিন রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছিল। সন্ধ্যার দিকে মোমিনুর ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ইসিজি করানো হয়। এতে তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে।
‘তখন পরিবারের লোকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। রোগী রেফার প্রক্রিয়ার মাঝেই মোমিনুর ইসলামের মৃত্যু হয়।’
এদিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চার রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।