আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ না মানলে দেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে। জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট ও সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লকডাউন দিলে দেশের ক্ষতি হবে তাই সরকার এর পক্ষে নন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, বাণিজ্য মেলাসহ অনেক স্থানেই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এটা খুবই উদ্বেগজনক। নিজের জন্য, দেশের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সংক্রমিত হওয়া থেক বাঁচার জন্য মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই।
মন্ত্রী বলেন, কোভিড খুবই ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল (১৪ জানুয়ারি) প্রায় চার হাজার ৪০০ লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই এই সংক্রমণের হার ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ও সবাইকে টিকা নিতে হবে। ইতোমধ্যে সোয়া ১৪ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে।
একটি সমীক্ষার উদাহারণ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন আড়াই হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে এদের মধ্যে ৩০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের মধ্যে শতকরা এক ভাগ লোকের আইসিইউ প্রয়োজন হচ্ছে। এই মুহূর্তে এটিও আশঙ্কাজনক। এইভাবে সংক্রমণ ও রোগী বাড়তে থাকলে হাসপাতfলগুলোতে জায়গা থাকবে না। কাজেই সকলকেই সতর্ক হতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সাংঘাতিকভাবে বাড়ছে। গতকালও সারা বিশ্বে ৩২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং ৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে পরছে। দেশের অর্থনীতি সচল ও জীবন ব্যবস্থা ভালো রাখার জন্য সরকার প্রতিটি জেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন ও ১০ বেডের ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন বিপ্লব, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনন্যা চৈতী