আর কয়েক বছরের মধ্যেই ৭০-এ পা দেবেন রেখা। তবে লাল গালিচায় ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি এখনও ‘চিরসবুজ’। সাম্প্রতিক সময়ে তাকে সিনেমার পর্দায় তেমন ভাবে দেখা যায়নি বটে, তবে এই বয়সেও তার রূপে মুগ্ধ অনুরাগীরা। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীনও পেশাগত জীবনের থেকে অনেক বেশি চর্চায় থেকেছে তার ব্যক্তিগত জীবন। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার প্রেম নিয়েও কম কথা হয়নি। তবে সেই সব জল্পনায় পানি ঢেলে ১৯৯০ সালে ব্যবসায়ী মুকেশ অগরওয়ালকে বিয়ে করেন রেখা। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি। মাত্র সাত মাসের মাথায় আত্মহত্যা করেন মুকেশ। তার পর থেকে ‘সিঙ্গেল’ রেখা। মুকেশের মৃত্যুর পরে কি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন রেখা? কার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চেয়েছিলেন তিনি? সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে মিলল তার উত্তর।
সিমি গ্রেওয়ালের অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। সেখানে রেখাকে সিমি প্রশ্ন করেন, তিনি কি আবার বিয়ে করতে চান? উত্তর দিতে গিয়ে রেখা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘এক জন পুরুষকে?’’ সিমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়েই বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই এক জন মহিলাকে নয়...!’’ রেখা হেসে উত্তর দেন, ‘‘কেন? আমি এক জন মহিলাকে বিয়ে করতে পারি না? আমি তো মনে করি, আমি নিজের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। আমার কাজ, আমার প্রিয় জন... সবার সঙ্গেই আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।’’
সম্প্রতি সহকারী ফরজানার সঙ্গে রেখার সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে সমাজমাধ্যমে। খবর মেলে, ফরজানার সঙ্গেই নাকি ‘সম্পর্ক’-এ রয়েছেন অভিনেত্রী। তার সঙ্গেই নাকি একত্রবাসও করেন! রেখার জীবন অবলম্বনে ‘রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইতেই নাকি উল্লেখ আছে এই বিষয়ে। ২০১৬ সালে প্রকাশিত রেখার এই জীবনীর লেখক ইয়াসের উসমান। ওই বইতেই নাকি দাবি করা হয়েছে, প্রায় তিন দশক ধরে রেখার ছায়াসঙ্গী ফরজানা। রেখার শোয়ার ঘরে নাকি ফরজানা ছাড়া অন্য কারও ঢোকার অনুমতি নেই। এমনকি, অভিনেত্রীর বাড়ির খুঁটিনাটি থেকে তার পেশাদার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তও নেন ফরজানাই।
যদিও এই দাবি অস্বীকার করে উসমান সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘আমার লেখা ‘রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইয়ের বক্তব্য বলে যে উদ্ধৃতিগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যে। হলফ করে বলতে পারি, আমার বইয়ে এমন কথার উল্লেখ পর্যন্ত নেই। ‘একত্রবাস’ বা ‘যৌন সম্পর্ক’-এর মতো শব্দবন্ধের উল্লেখ আমি পাণ্ডুলিপিতে পর্যন্ত করিনি।’’ তার লেখা বইয়ের নামে এই মিথ্যা প্রচার বন্ধ না করলে আইনি পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইয়াসের। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি রেখা নিজে।