জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে ‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এফএওর মহাপরিচালক কিউ ডংইউ’র উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কক্ষটি উদ্বোধন করেন।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতে ‘সবুজ বিপ্লবের’ সূচনা করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ কক্ষটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশের একটি ছোট্ট অংশ পেয়ে আনন্দিত।
কক্ষটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য এফএও মহাপরিচালক ও তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এফএওর সদস্যপদ লাভ করে।
বাংলাদেশের জনগণকে নিপীড়ন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনব্যাপী মিশন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম বহনকারী এই কক্ষটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
এই কক্ষটি বাংলাদেশ এবং এফএও-র মধ্যে চমৎকার অংশীদারিত্বের পঞ্চাশ বছরের সম্পর্কের নিদর্শন বহন করে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টি মোকাবিলায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। সব মানুষের জন্য একটি ক্ষুধামুক্ত এবং দারিদ্র্যমুক্ত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমার জীবনের উদ্দেশ্য এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছি।
শেখ হাসিনা গেলো মাসে জেনেভা সফরের কথা উল্লেখ করে সেখানে তিনি বাংলাদেশের শ্রমিক এবং মেহনতি জনগণের জন্য কথা বলেছিলেন জানিয়ে বলেন, এবার আমি এখানে এসেছি আমাদের ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের অবদানের কথা বলতে।
তিনি বছরের পর বছর ধরে পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুরো জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।