ভারতে নারী ও শিশুসহ ৭৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশটির উত্তর প্রদেশের ছয়টি জেলায় ‘অবৈধভাবে’ বসবাস করার জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৪ জন নারী ও পাঁচজন শিশু। সোমবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ছয়টি জেলায় বসবাস করছিল।
রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ ক্যাম্পেইন গ্রুপ জানিয়েছে, গ্রেপ্তাররা মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে ভারতে আসার পর প্রায় ১০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন।
ইনিশিয়েটিভ ডিরেক্টর সাব্বের কিয়াও মিন বলেন, তাদের অনেকেই আবর্জনা সংগ্রহ ও দিনমজুরি করতেন। মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলী জোহর জানান, গেলো বছরের শুরুর দিকে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গা ভারতে বসবাস করছিলেন।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ ও অসংখ্য গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ ও ভারতে পালিয়ে যান।
নয়াদিল্লি ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি। শরণার্থীদের সুরক্ষার জন্য ভারতের নিজস্ব আইনও নেই।
জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল। কিছু সামরিক জেনারেল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।