রাজধানী ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চও একই ঘোষণা দিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে দলে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- বিএনপি রাস্তা বন্ধ করলে আওয়ামী লীগ তাদেরই রাস্তা বন্ধ করে দেবে।
যুবলীগের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে ঘোষণা দেয়া হয়েছে- রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশমুখে শনিবার শান্তি সমাবেশ করা হবে।
সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের সমাবেশ চলবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। ইতোমধ্যে রাজধানী জুড়ে টহল, চেকপোস্ট, তল্লাশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে বলে প্রত্যাশা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তবে সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে পথ আটকাতে দেবো না। কেউ সেই চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’
ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানান, মিরপুর, তেজগাঁও, লালবাগ, ওয়ারী, উত্তরা বিভাগের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সদস্যরা কর্মসূচি ঘিরে মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি র্যাব ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তৎপর থাকবেন গোয়েন্দারাও।
ঢাকার প্রবেশপথগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো
সাভার-আমিনবাজার-গাবতলী, আবদুল্লাহপুর ও টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও কাঁচপুর, সায়েদাবাদ এবং কেরানীগঞ্জ। এসব প্রবেশপথে যানজট তৈরিসহ সরকার সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠন ও বিরোধী দলের সামনাসামনি অবস্থান ও সংঘর্ষের শঙ্কার কথা জানিয়েছে পুলিশ।