আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ডিসি অফিসের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডিসি অফিসের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
চালান টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে সরকারি রাজস্বের প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহী ডিসি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার কাজেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালের দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং ৭, তারিখ-৩০/০৭/২০২৩। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সাবেক পবা উপজেলার ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার ও বর্তমান রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাজেম আলী প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি রাজস্ব বাবদ ডিসিআর এর মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের চালান টেম্পারিং করে টাকার অংক বিকৃত করে পরিবর্তনের মাধ্যমে ৭০,০০,০০০ টাকা কম জমা করেন। ডিসিআর এর মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করে জাল চালান সৃজন করে খাঁটি হিসেব ব্যবহার করে ৯,২৬,২৮১ টাকাসহ সরকারের সর্বমোট ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা দন্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭অ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা (এজাহার) দায়ের করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রাজশাহীতে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী কাজেম আলী গত ২০১০ সালের ২৬জুলাই হতে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পবা উপজেলা ভূমি অফিসে নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত থাকাকালীন ডিসিআর মূলে রাজস্ব খাতের টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি নাজির কাম ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি রাজস্ব বাবদ ডিসিআর এর মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের চালান টেম্পারিং করে কম জমা প্রদানের মাধ্যমে মোট ৭৯,২৬,২৮১- টাকা আত্মসাত করার বিষয়ে তার কর্মকালীন সময়ের উপরে বিশেষ নিরীক্ষা পরিচালনা হয়। উক্ত নীরিক্ষায়ও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। আসামি কাজেম আলী পবা উপজেলা ভূমি অফিসে নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত থাকাকালে সরকারি রাজস্ব আদায় বাবদ ডিসিআর মূলে সর্বমোট ৮৯,৬৪,৯৩১ টাকা আদায় করেন। আদায়কৃত টাকার মধ্যে তিনি সর্বমোট ১০,৩৮,৬৫০ টাকা সংশ্লিষ্ট সরকারি খাতে জমা প্রদান করেছেন। অবশিষ্ট ৭৯,২৬,২৮১ টাকা সংশ্লিষ্ট খাতে জমা প্রদান না করে তা আত্মসাত করেছেন। নাজির কাজেম আলী নগরীর কেশবপুর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ডিসি | অফিসের | ক্যাশিয়ারের | বিরুদ্ধে | ৮০ | লাখ | টাকা | আত্মসাতের | অভিযোগ