অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড যুক্ত হচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যাকেটে । শিগগিরই ডিবির সব সদস্যকে পৃথক কোড সংযুক্ত করে এ জ্যাকেট দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ডিবির নিজস্ব সার্ভারে সব কর্মকর্তাদের তথ্য আগে থেকেই জমা থাকবে। মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সদস্যের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই তাদের পরিচয় চলে আসবে। আর যদি কোনো ভুয়া ডিবির পোশাকের কোড স্ক্যান করা হয় তাহলে ‘ইনভ্যালিড কিউআর কোড’ নামে একটি বার্তা দেখা যাবে।
ডিবির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তাদের সাধারণ পোশাকের ওপর একটি হাতাকাটা জ্যাকেট পরে থাকেন। সেটির সামনের দিকে ডানে ইংরেজিতে ‘ডিবি’ লেখা থাকে। বামে থাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লোগো। পেছনে ইংরেজিতে কেবলই ‘ডিবি, ডিএমপি’ লেখা থাকে।
সাধারণ ইউনিফর্ম থাকায় প্রতারক ও অপরাধীরা সহজেই এমন ইউনিফর্ম তৈরি করে ভুয়া ডিবি সেজে ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণের মতো বড় বড় অপরাধ সংঘটিত করছে। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই পরিবর্তন হচ্ছে ডিবির পোশাক।
এম হাফিজ বলেন, কেউ যেন ভুয়া ডিবি পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে, সেজন্য নতুন পোশাক তৈরি হচ্ছে। কিউআর কোড ছাড়াও পোশাকে এমন কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকছে, এতে করে সহজে জালিয়াতি করা সম্ভব হবে না।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, অনেক সময় ডিবির জ্যাকেট নিয়ে মানুষ প্রতারণা করছে। ডিবির পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করছে। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতেই ডিবির জ্যাকেট চেঞ্জ করা হচ্ছে। যেন জনগণ জানতে পারে কোনটা ডিবি আর কোনটা ডিবি না।
এরইমধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কুইক রেসপন্স কোড সম্বলিত জ্যাকেট প্রস্তুতের কাজ চলছে। চলতি মাসের শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিশেষ এ পোশাক ডিবি সদস্যদের সরবরাহ করা হতে পারে।
এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, নতুন পোশাকে বুকের ওপরই থাকবে কিউআর কোড। পোশাক তৈরিতে এমন কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে যা শীত ও গরম উভয় ঋতুতে আরামদায়ক। এছাড়া পোশাকে এক ধরনের বিশেষ রং থাকবে, যার বিচ্ছুরণ থেকে আসল-নকল পুলিশের পার্থক্য ধরা যাবে। এমনকি বিশেষ ধরনের কাপড় দিয়ে এ পোশাক তৈরি করা হচ্ছে, যেন এটি বাজারে পাওয়া না যায়।
এর আগে ডিবির জ্যাকেট তৈরি করে ভুয়া ডিবি পরিচয় দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনেকেই।
অনন্যা চৈতী