বেপরোয়া চলাফেরার কারণে সারাদেশে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিলে তা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে, বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উদ্বেগজনক সংক্রমণ মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “দেশে এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন; তাদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত, যা আশঙ্কাজনক। ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনগণ সেটা না মানলে করোনা সংক্রমণ বা মৃত্যুহার কোনোটিই কমবে না।”
তিনি বলেন, “ডেলটা ভ্যারিয়েন্টকে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। যদিও আমাদের অনেক ঘাটতি ছিল। পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না, শয্যা ছিল না, ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিজ্ঞতা ও মনোবল কম ছিল। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে আসায় সর্বস্তরে আমাদের মানুষজনের আস্থা, সাহস বেড়ে গেছে। আমরা এখন যে কোনো ঢেউ মোকাবিলা করতে পারি, সে সক্ষমতা আমাদের আছে।”
জাহিদ মালেক বলেন, “সংক্রমণ যখন কমে এসেছিল; তখন মৃত্যুও শূন্যের কোটায় চলে এসেছিল। আমরা ধারণা করেছিলাম করোনা এবার বিদায় হবে। কিন্তু তখন আমাদের জনগণের মধ্যে অতিমাত্রায় কনফিডেন্স চলে এসেছিল। প্রায় সবাই মাস্ক ছাড়া চলাচল করেছে। কেউই তেমন করে স্বাস্থ্যবিধি মানেনি।”
তিনি আরও বলেন, “যখন সংক্রমণ কমেছে, তখন প্রচুর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। হাজার হাজার লোক সেগুলোতে গিয়ে জটলা পাকিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে লাখ লাখ মানুষ গিয়েছে। আমরা এখনও দেখছি- বাণিজ্য মেলা, বাজার, শপিংমলে খুব কম মানুষই মাস্ক পরছেন। এসব কারণেই সংক্রমণ বেড়েছে। ওমিক্রনকে হালকাভাবে না নিয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”
এস