আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

টিআইর প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয় না, প্রত্যাহারের বিষয়ও না : দুদক চেয়ারম্যান

টিআইর প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয় না, প্রত্যাহারের বিষয়ও না : দুদক চেয়ারম্যান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদনের ব্যাপারে আমাদের কোনও রিঅ্যাকশন নাই। এটা গ্রহণ করার বিষয় না, আবার প্রত্যাহারের বিষয়ও না। বললেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।

আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) টিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, বারবার চেয়েও কারো কাছ থেকে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ির মালিকদের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কীভাবে এগুবো। যেগুলো পেয়েছি সেগুলোর ওপর কাজ করছি। বেগমপাড়ার কোনও তালিকা আমাদের কেউ দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য কোনো দেশ দিতে চায় না। কারণ টাকা সেই দেশে যাচ্ছে আর টাকাগুলো রাখার জন্যই তারা তথ্য দিচ্ছে না। বলছে, মামলা হলে তথ্য দেবে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অনেক প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজ করছে। আজকে ঘুমাতে যাবেন, কাল দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে, এমনটা সম্ভব না। দুর্নীতি দমনে দুদক ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, দেখেন এটা বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের একটা প্রতিবেদন। তারা একটা রিপোর্ট দিয়েছে, তাদের ক্রাইটেরিয়া আছে। আট প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইনডেক্স থেকে কোট করে তারা এইটা করেছে।

বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এ প্রতিবেদন দেখবো যাচাই করে। যদি আমাদের কাজের কোনও সুপারিশ থাকে, সেগুলো বাস্তবসম্মত হলে ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, দুর্নীতি বাড়লো, না কমলো বা দুর্নীতি কী জন্য এইটা আমরা বলবো না। আমাদের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ আসলে সেটা অনুসন্ধান করে বিচারের আওতায় আনা হলো আমাদের কাজ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টিআইর | প্রতিবেদন | গ্রহণের | বিষয় | প্রত্যাহারের | বিষয়ও | | দুদক | চেয়ারম্যান