আর্কাইভ থেকে ফুটবল

দুর্নীতির অভিযোগে বাফুফের সোহাগকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে বাফুফের সোহাগকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
ফিফার অনুদানের অর্থে কেনাকাটার নামে আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই তদন্ত শেষে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাক আবু নাঈম সোহাগকে আজীবন নিষিদ্ধের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বাফুফের গঠিত তদন্ত কমিটি। এই ঘটনার শুরু হয়েছিল  এই ঘটনার শুরু হয়েছিল ১৪ এপ্রিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা থেকে আর্থিক দণ্ড ও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরে। দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফিফা সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে। তখনই বাফুফের কর্তা ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে আবারও বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের দাবি ওঠে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। গেলো ১৫ মে হাইকোর্টের আদেশে আগামী চার মাসের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিসহ সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এর আগে গেলো ৩ মে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ ঊর্ধ্বতনদের দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়ে দুদকে আবেদন করেছিলেন ব্যরিস্টার সুমন। তার দাবি ছিল, আবু নাঈম সোহাগ একা বাফুফেতে অনিয়ম-দুর্নীতি করেননি। তার সঙ্গে সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ ঊর্ধ্বতনরা জড়িত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন দুর্নীতির | অভিযোগে | বাফুফের | সোহাগকে | দুদকের | জিজ্ঞাসাবাদ