বৃষ্টি কমে যাওয়ায় কক্সবাজারের সদর, পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, রামু, মহেশখালী, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার প্লাবিত এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে লোকালয়ের পানি নেমে গেলেও অনেকস্থানে এখনো রাস্তাঘাট ডুবে আছে।
বুধবার (৯ আগষ্ট) জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কুতুবদিয়ায় ৭০০ পরিবার, পেকুয়াতে ১০ হাজার পরিবার, মহেশখালীতে ৫০০ পরিবার, চকরিয়ায় ৫০ হাজার পরিবার, কক্সবাজার সদরে ১ হাজার পরিবার, ঈদগাঁও উপজেলায় ১৫০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, দুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়। তবে প্রশাসনের দাবি, প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে ৭ আগস্ট বিকেলে পাহাড় ধসে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা-মেয়ে ও চকরিয়ার বড়ইতলী এলাকায় দুজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন আরও চারজন।
আবহাওয়া অফিসের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের জৈষ্ঠ্য পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দাশ জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৭ মিলিমিটার। এতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জানান, পাবর্ত্য জেলা ও চকরিয়ার পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় মাতামুহুরি নদী ও জোয়ারের ঢেউয়ে বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। চকরিয়ার একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে পৌরসভাসহ ১২ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে কাকড়া, লক্ষ্যরচর, বুমুবিল ছড়ি, সুরেজপুর-মানিকপুর, কৈয়ারবিল, কোনাখালী ইউনিয়ন। তবে এখন পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্র আছেন। তাদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, চকরিয়া উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছি। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।