ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৪১ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। অভিবাসীরা উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার বন্দর শহর স্ফ্যাক্স থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।
বুধবার (০৯ আগস্ট) এই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া চারজনের একটি দল উদ্ধারকারীদের এ ব্যাপারে জানিয়েছেন। খবর ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেঁচে যাওয়া যে চারজন বুধবার ল্যাম্পেডুসা পৌঁছেছেন তারা আইভরি কোস্ট এবং গিনির বাসিন্দা। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। তারা জানিয়েছেন, তারা যে নৌকায় ছিলেন সেখানে তিনটি শিশুও ছিল।
উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পারাপারে এ বছর এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রায় সাত মিটার (২০ ফুট) লম্বা নৌকাটি গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার স্ফ্যাক্স ছেড়েছিল। কিন্তু একটি বড় ঢেউয়ের আঘাতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি ডুবে যায়। নৌকায় মাত্রা ১৫ জন লাইফ জ্যাকেট পরেছিলেন।
পরে তাদের একটি কার্গো জাহাজ তাদের উদ্ধার করেছিল। তারপরে একটি ইতালীয় উপকূলরক্ষীদের জাহাজে স্থানান্তর করা হয়।
ইতালীয় উপকূলরক্ষীরা রবিবার এলাকায় দুটি জাহাজ ধ্বংসের খবর দিয়েছেন, তবে এই জাহাজটি তাদের মধ্যে একটি কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, ল্যাম্পেডুসা থেকে প্রায় ৮০ মাইল (১৩০ কিমি) দূরে অবস্থিত একটি বন্দর শহর স্ফ্যাক্স, ইউরোপে নিরাপত্তা ও উন্নত জীবন খোঁজার অভিবাসীদের জন্য একটি জনপ্রিয় প্রবেশদ্বার।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, ইতালীয় টহল নৌকা এবং দাতব্য গোষ্ঠীগুলি ল্যাম্পেডুসায় আগত আরও দুই হাজার লোককে উদ্ধার করেছে।
তিউনিসিয়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কালো আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে বর্ণ বিদ্বেষ বেড়েছে। এর ফলে নৌকায় করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টাও বেড়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু এবং নিখোঁজ হয়েছে।
ইতালির অতি-ডানপন্থী সরকার একটি নীতি গ্রহণ করেছে, যার ফলে অভিবাসী নিয়ে আসা জাহাজগুলিকে ল্যাম্পেডুসা বা সিসিলিতে নামতে না দিয়ে আরও দূরে বন্দরে ডক করতে বাধ্য করা হয়।