নানা ইস্যুকে ঘিরে বর্তমান সময়ে আলোচনার শীর্ষে আছেন ঢাকাই সিনেমার বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় চেনা মুখ পরীমণি। সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরেও তিনি আলোচনায় ছিলেন।
কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলে ‘কার্যকরী পরিষদ সদস্য’ পদে মনোনয়ন জমা দিলেও পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে আসেন পরীমনি। এমনকি ভোটের দিন নিজের ভোটটাও দিতে এফডিসিতে যাননি ‘বিশ্বসুন্দরী’ খ্যাত এ নায়িকা। নির্বাচন থেকে সরে এলেও ব্যালট পেপারে নাম থেকে যায় পরীর। ৭৯ ভোট জমা পড়ে তাঁর ব্যালটে। পরাজিতদের দলে রয়েছেন আলোচিত এ চিত্রনায়িকা।
ভোটগ্রহণের দিন এফডিসিতে না আসার অন্যতম কারণ হিসেবে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানাকে দুষলেন ‘বিশ্বসুন্দরী’ খ্যাত নায়িকা।
এসময় তিনি বলেন,করোনার মধ্যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কারও মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব নেই। সবাই গাদাগাদি করে আড্ডা মারছেন। গায়ে লেগে লেগে ভোট দিতে কেন্দ্রে ঢুকছেন। টেলিভিশনের খবর ও ফেসবুকে নির্বাচনি ভিডিওতে এসব ফুটেজ দেখে রীতিমতো ভয় পেয়েছেন পরী।
তীর্যক মন্তব্য করে পরীমনি বলেন, মেকআপ করা চেহারা দেখানোর জন্য মাস্ক রাখেননি অনেকে। আগে জীবন নাকি আগে চেহারা দেখানো নাকি আগে ভোট? অনাগত সন্তান এবং তাঁর নিজের জীবনের কথা চিন্তা করেই এমন পরিবেশে ভোট দিতে সেখানে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে চাননি।
প্রসঙ্গত এবারের নির্বাচনে ১১টি কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৪ জন। ভোটপ্রাপ্তির দিক দিয়ে পরীমনির অবস্থান ২২তম। তাঁর সমান ৭৯ ভোট পেয়েছেন অভিনেতা শাকিল খান।
পরীমনি ও শাকিল খানের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন শুধু রবিউল ইসলাম হরবোলা। তিনি পেয়েছেন ৪৭টি ভোট।
অনন্যা চৈতী