যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (১৩ আগস্ট) মাউই কাউন্টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গেলো মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। এরপর হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসের কারণে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৪ হাজার পর্যটককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। তবে, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনও অনেক মানুষের সন্ধান পায়নি কর্তৃপক্ষ। আগুন থেকে বেঁচে যাওয়া লাহাইনা শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, তাদের বাড়ির দিকে যখন দাবানলের আগুন এগিয়ে আসছিল তখনও তাদের হুঁশিয়ার করার জন্য কোনো সতর্কসংকেত দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নিহতের সংখ্যা বিবেচনায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের শত বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর দাবানল।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চলছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাহাইনা শহর। ওই রিসোর্ট নগরীর ১২ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গভর্নর জোস গ্রিন বলেছেন, দিনটি একটি ‘হৃদয়বিদারক দিন’। এ ঘটনায় ঐতিহাসিক নগরী লাহাইনার অন্তত ১ হাজার ৭০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শহরটির ৮০ শতাংশ এলাকা দাবানলের আগুনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে হোটেলগুলোতে দুই হাজার কক্ষ চাওয়া হয়েছে তাদের জন্য।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় লোকজন এখনও বসবাস করতে পারছে সেখানকার মানুষদের তাদের বাড়ির অতিরিক্ত কক্ষে আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এটা হাওয়াই দ্বীপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নিহতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। শত শত ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
গভর্নর জোস গ্রিন আরও বলেন, লাহাইনাকে আবার নতুন করে গড়ে তুলতে বহু বছর লাগবে। এই শহরটিই মূলত দাবানলের কেন্দ্রবিন্দু। লাহাইনার ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখলে আপনি বিস্মিত হবেন। সবভবনই নতুন করে তৈরি করতে হবে। এটা হবে একটা নতুন লাহাইনা।