আর্কাইভ থেকে এশিয়া

নিষেধাজ্ঞা-বিচ্ছিন্নতার জন্য প্রস্তুত মিয়ানমার

নিষেধাজ্ঞা-বিচ্ছিন্নতার জন্য প্রস্তুত মিয়ানমার

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান সোয়ে উইনের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার। এ সময় সামরিক অভ্যুত্থানের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হলে তার জবাব ছিল, নিষেধাজ্ঞায় অভ্যস্ত এবং টিকে আছি আমরা। গতকাল বুধবার বিষয়টি জানান জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা একঘরে করলে তা মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শক্ত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার বলেন, মিয়ানমারে গতকাল বুধবার বিক্ষোভের সময় গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত ৩৮ জন। সামরিক অভ্যুত্থানের পর চলমান বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে সবচেয়ে সহিংস দিন ছিল এটি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপপ্রধান সোয়ে উইনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তাকে সতর্ক করে দেন, সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় কিছু দেশের শক্ত পদক্ষেপের মুখে পড়তে পারে সেনাবাহিনী। তারা বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।

জাতিসংঘ দূত বলেন, সোয়ে উইনের উত্তর ছিল, আমরা নিষেধাজ্ঞায় অভ্যস্ত এবং টিকে আছি। ক্রিস্টিন আরও বলেন, যখন সতর্ক করলাম তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে, তার উত্তর ছিল অল্প কিছু বন্ধুর সঙ্গেই চলতে শিখতে হবে।

কাল শুক্রবার ব্রিটেনের ডাকে মিয়ানমার বিষয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। এদিন ব্রিফ করবেন শ্রেনার বার্গেনার।

গেল এক ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি নেত্রী অং সান সু চি এবং দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের। গেল নভেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পায় এনএলডি। সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির দাবি করলেও ভোট সুষ্ঠু ছিল বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।

রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তার ব্যবসায়িক মিত্রদের চাপ দিতে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বা দেওয়ার বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

এছাড়া মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তবে রাশিয়া এবং চীনের আপত্তির মুখে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাতে পারেনি সংস্থাটি। ঘটনাগুলোকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে করে দেশ দুটি।

রাশিয়া ও চীনের উদ্দেশে শ্রেনার বার্গেনার বলেন, আমি আশা করি এটাকে শুধু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে দেখবে না চীন-রাশিয়া, এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নিষেধাজ্ঞাবিচ্ছিন্নতার | জন্য | প্রস্তুত | মিয়ানমার