কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
বুধবার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম গেলো ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে মামলাটি করেছিলেন।
মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও। তিনি গেলো সোমবার (১৪ আগস্ট) হাইকোর্টে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
মামলার আবেদনের পর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত ডিএমপির গুলশান থানাকে অভিযোগ নথিভুক্ত (রেকর্ড) করার নির্দেশ দেয়। গেলো ৮ আগস্ট গুলশান থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনত এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করত। একপর্যায়ে আসামি মুশতাক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।
মামলার বাদীর আরও অভিযোগ, ভুক্তভোগী মুশতাকের এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আসামি মুশতাককে তার কক্ষে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি এবং অধ্যক্ষ আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন বলে অভিযোগ মামলার বাদী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উপায় না পেয়ে গেলো ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে সেখান থেকে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি একেক দিন একেক স্থানে রেখে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।