আর্কাইভ থেকে জাতীয়

সর্বজনীন পেনশনে একদিনে জমা হলো যত টাকা

সর্বজনীন পেনশনে একদিনে জমা হলো যত টাকা
সর্বজনীন পেনশন উদ্বোধন হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট)। উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এক হাজার ৬৬৬ জন। এতে পেনশন ফান্ডে জমা পড়েছে প্রায় ৮৭ লাখ টাকা। এ সময় ১১ হাজারের বেশি গ্রাহক ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বাস্তবায়নকারী সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, পেনশন স্কিম নিয়ে দেশের নাগরিকরা যে আশাবাদী তা প্রথম দিনের সাড়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রথমদিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজার ৬৬৬ জন গ্রাহক নাম নিবন্ধন করেছেন। এতে ৮৭ লাখ টাকার বেশি জমা পড়েছে। দ্বিতীয় দিনের হিসাব বের করা হয়নি। মনে হচ্ছে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) পর্যন্ত এ ফান্ডের টাকার পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, পেনশন স্কিমে সাধারণ গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি বলেন, টার্গেট গ্রুপকে পেনশনে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারিভাবে আরও বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয়, মানুষ ঘরে বসে যাতে পেনশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে অনলাইন সিস্টেমটি প্রয়োজনে অত্যাধুনিক করা হবে। এখন পর্যন্ত সেরকম কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। নাম নিবন্ধন করে দেশের সাধারণ মানুষ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। পেনশন কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে যে কারো লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকার নিজে এর গ্যারান্টার হচ্ছেন। এ ছাড়া পুরো বিষয়টি সরকারিভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ কারণে এটা নিয়ে কারো দ্বিধা বা সংকোচ থাকার কথা নয়। দেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় রয়েছে চারটি স্কিম। প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী স্কিমে ন্যূনতম মাসিক চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম। এতে প্রতিমাসের চাঁদা দিতে হবে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা। সুরক্ষা স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন কৃষক, শ্রমিক, তাঁতিরা। তাদের প্রতিমাসে চাঁদা দিতে হবে এক হাজার টাকা। এতে যুক্ত হতে পারবে অতি দরিদ্ররাও। সমতা স্কিমের আওতায় তাদের ন্যূনতম চাঁদা এক হাজার টাকা দিতে হবে। তবে, এতে ৫০০ টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার। পেনশন কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ। চাঁদা বন্ধ হবে ৬০ বছর বয়সে। নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে অন্তত ১০ বছর। মাসিক পেনশন শুরু হবে ৬০ বছর বয়স থেকে। বেঁচে থাকলে পেনশন পাবেন আজীবন। আর মারা গেলে নমিনি বা উত্তরাধিকারী পাবেন সর্বোচ্চ ১৫ বছর। ইউ পেনশন ডট গভ ডট বিডি ওয়েব সাইটে নিবন্ধন করা যাবে ঘরে বসে। চাঁদা দেওয়া যাবে ব্যাংক, বিকাশ ও নগদের মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সর্বজনীন | পেনশনে | একদিনে | জমা | হলো | যত | টাকা