বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানিতে হট্টগোল করেছেন বিএনপি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। এ কারণে রুল শুনানির দিন ধার্যের বিষয়ে দুপুর দুইটায় আদেশ দেবেন বলে জানান হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। শুনানির একপর্যায়ে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হট্টগোল হয়।
রিটকারীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রুলের শুনানির জন্য তারেক রহমানের গুলশানের বাসার গেইটে নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে ।
এ সময় আদালত জানতে চান সুপ্রিম কোর্টের বোর্ডে নোটিশ টাঙ্গানো হয়েছে কিনা।
শুনানির একপর্যায়ে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানির সময় পিছিয়ে আগামীকাল (বুধবার) ধার্য করার কথা বলেন।
এসময় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কায়সার কামালকে উদ্দেশ করে বলেন, শুনানি কখন হবে সেটা আপনি বলার কে? এসময় কোর্টে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হইচই করে উঠেন। এরপর দুই পক্ষের আইনজীবীরাই তর্ক-বিতর্ক ও হইচই শুরু করেন। পরে আদালত দুপুরে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ রাজা, সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট ঠিকানা সংশোধন করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় জারি করা রুলের নোটিশ পাঠাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করতে কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর দীর্ঘদিন রুলের শুনানি হয়নি। সম্প্রতি বিএনপির সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য প্রচার করা হয়। এরপরই বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা।