পঞ্চগড়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাঈদিকে তুলনা এবং যুদ্ধাপরাধী সাঈদির প্রতি শোক প্রকাশ করায় কলেজ অধ্যক্ষকে বরখাস্তের দাবী উঠেছে। এ নিয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। তবে সাঈদির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে তুলনা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তেঁতুলিয়া সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী।
এদিক সপ্তাহ জুড়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন সভা সমাবেশে তেঁতুলিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের শাস্তির দাবী করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ওই অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের অভিযোগ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায় তেঁতুলিয়া সরকারী কলেজের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গেলো ১৫ আগস্টে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন বঙ্গবন্ধুকে সাঈদির সঙ্গে তুলনা করেন। সেই সঙ্গে সাঈদির প্রতি শোক প্রকাশ করেন । অধ্যক্ষের এমন বক্তব্যে তেঁতুলিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়েছে।
তেঁতুলিয়া সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাজিউল ইসলাম জানান, আমি অধ্যক্ষের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অতি দ্রুত অধ্যক্ষের বিরূদ্ধে শাস্তির দাবী করছি।
শোক দিবসের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রভাষক কাজিউল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষের তিন মিনিটের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সাঈদিকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে বিষয়টি আমরা কলেজ কতৃপক্ষ চেপে গিয়েছিলাম কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরা এটা ফাঁস করে দিয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু জানান, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে সাঈদির সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে এটা মেনে নিতে পারিনা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া না হলে আমরা অধ্যক্ষের বিরূদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবো।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী জানান, আসলে সেই শোকের অনুষ্ঠানে আমি সাঈদিকে নিয়ে কোন আলোচনা করিনি। আসলে ঘটনাটি ভূল বোঝাবুঝি হয়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র শাহা জানান, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।