আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকানে ভোক্তা অধিকারের অভিযান

ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকানে ভোক্তা অধিকারের অভিযান
ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকারের প্রতিনিধি দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল। অভিযানে এক নারী ডাব বিক্রেতা বলেন ‘আমরা গরিব মানুষ। ১০ টাকা লাভ হলেই ডাব বিক্রি করে দেই। আমরা ডাবের দাম বাড়াই না, আড়তদাররা বাড়ায়, আমাদের ওপর অভিযান চালালেই হবে না। পারলে আড়তে অভিযান চালান, দাম এমনিতেই কমে যাবে।’ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এই ডাব বিক্রেতা বলেন, আমারা ১৫০ টাকা পিস ডাব কিনলে, বিক্রি করি ১৭০ টাকা। আর ১০০ টাকা পিস কিনলে বিক্রি করি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ডাব কেনার ওপর নির্ভর করে কোন দাম বিক্রি করব। তারা কম দামে বিক্রি করলে আমরা কম দামে ডাব বিক্রি করতে পারি। ডাব বিক্রেতা সুমন জানান, ‘আজকে তিনি ৯০ থেকে ১০০ টাকা পিস ডাব বিক্রি করছেন। তার কেনা মূল্য ৭৫ টাকা। তবে গণমাধ্যমকর্মী এবং অভিযানে আসা আব্দুল জাব্বারে উপস্থিতিতে একজন ক্রেতা অভিযোগ করেছেন আজকে সকালে সুমনের কাছ থেকে ১২০ টাকা দিয়ে ডাব কিনেছেন। সুমন সঙ্গে সঙ্গেই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি ১০০ টাকার বেশি দরে ডাব বিক্রি করিনি।’ অভিযান শেষে ভোক্তার প্রতিনিধি দলের প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘গতকালের সিদ্ধান্তের আলোকে আজকে অভিযান পরিচালনা করেছি। ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন অভিযানের আগেও অর্থাৎ আজকে সকালে এখানে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা পিস ডাব বিক্রি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকা পিস বিক্রি করছেন। আমরা ভ্যানে করে ডাব বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের ডাবের কেনা মূল্য জানতে চেয়েছি। তারা আমাদের কেনা মূল্য দেখিয়েছেন। তাতে দেখেছি কেউ কিনেছেন ৭৫ টাকায় আর কেউ কিনেছেন ১১৪ টাকা পিসও। যারা ১১৪ টাকা পিস বিক্রি করেছেন তারা কীভাবে এত মূল্য নিলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’ তিনি বলেন, আজকে কাউকে জরিমানা করা হয়নি। সবাইকে সর্তক করা হয়েছে। ডাবের মূল্য টানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভ্রাম্যমাণ | ডাবের | দোকানে | ভোক্তা | অধিকারের | অভিযান