আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটে সম্পৃক্ত প্রায় ১০ লাখ জনবলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে এই ১০ লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এ অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত থাকবে।
প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর ধাপে ধাপে মাঠ পর্যায়ে সব প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার নিয়ে সব ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রযুক্তি নির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জেলা ও উপজেলা সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদেরও আলাদা প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকবে। তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমদের ব্রিফিং থাকছে।
বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্রিফিং হবে কেন্দ্রীয়ভাবে।
এসব প্রশিক্ষণসূচিতে নির্বাচনী আইন, বিধিমালা, নির্বাচন পরিচালনা বিধি, আচরণবিধিসহ সার্বিক বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও করণীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে থেকে উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ নির্বাচনে ৪২ হাজার হাজারের বেশি প্রিজাইডিং অফিসার, আড়াই লাখের বেশি সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার এবং সোয়া পাঁচ লাখের মতো পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইটিআই মহাপরিচালক জানান, প্রায় ১২ কোটি ভোটারের এ নির্বাচনে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র থাকছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কর্মকর্তা মিলিয়ে ১০ লাখেরও বেশি লোকবল লাগবে।
আমাদের একটা কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী, নির্ধারিত সংখ্যক লোকবল নিয়ে ব্যাচভিত্তিক সবাইকে প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিংয়ের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ব্রিফিং-এর বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। সময় যত ঘনিয়ে আসবে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান।