ভারতীয় পরিসংখ্যান ও রাজনৈতিক সমীকরণ অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশ যার ভারতও তার। অর্থাৎ রাজ্যটির বিধানসভা নির্বাচনের বিজয়ী দলই আগামীর ভারতের শাসকদল। ভারতের পাঁচ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, মনিপুর ও পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে সেই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ভোটগ্রহণ।ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। করোনার দাপটের মধ্যেই শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ।৫৮ আসনে ৬২৩ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। অগ্নিপরীক্ষায় বিজেপি, কংগ্রেসসহ বেশ কয়েকটি দল।
সাত ধাপের প্রথম দফার নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের দৃষ্টি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যটির দিকে। রাজসিংহাসন দখলের যুদ্ধে প্রথম পর্বে ৫৮টি আসনে লড়াই করছেন বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, এলআরডি, কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬২৩ প্রার্থী।
রাজ্যটির নির্বাচনে আগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশে ২০১৪, ২০১৭, ২০১৯-এ বিজেপি লোকসভার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। রাজ্যটির মানুষ একবার ক্ষমতায় আনার পরের বার সেই দলকে সরিয়ে দেয়ার নীতি থেকে সরে এসেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
উত্তর প্রদেশের পাশাপাশি পাঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, মনিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
সাক্ষাৎকারে কৃষকদের আন্দোলনের জেরে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়েও কথা বলেন মোদি। তার দাবি, ছোট এবং প্রান্তিক কৃষকেরা কৃষি আইনের পক্ষেই ছিলেন। দেশের স্বার্থে তার সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে।
অনন্যা চৈতী
