ব্রাজিলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যুহ হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও অন্তত কয়েকশ মানুষ।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সালের গভর্নর এদুয়ার্দো লেইতে জানিয়েছেন, রাজ্যের কমপক্ষে ৬০টি শহর এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শহরগুলোতে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার পানি নেমে গেলে বিভিন্ন শহর থেকে ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সান্তা কাতারিনায় আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রিও গ্রান্দে দো সালের পাসো ফুন্দো শহরের বাসিন্দা লুয়ানা দ্য লুজ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সকালের (মঙ্গলবার) দিকেই আমরা দেখতে পাই বন্যার পানি ক্রমেই বাড়ছে। আমাদের বাড়িঘর ডুবে যাচ্ছিল। ফলে আমরা জিনিসপত্রগুলোকে বিছানা, টেবিল এমনকি চুলার তাকের ওপরও রাখার চেষ্টা করে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’
এক খবরে এপি জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যায় কমপক্ষে সাড়ে ১৬শ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অপরদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ এর কম নয়।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে রয়টার্স জানিয়েছে, কেবল রিও গ্রান্দে দো সালে রাজ্যেই ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী সান্তা কাতারিনায় আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছে। মঙ্গলবারের ঘূর্ণিঝড় তার সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে, চলতি বছরের জুন মাসেই সংঘটিত আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।