ভারতে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি২০ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যে পত্র পাঠিয়েছিলেন, তাতে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্কের আগুনে যেন ঘি ঢেলেছে আরেকটি নোট।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইন্দোনেশিয়ায় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আসিয়ান-ইন্ডিয়া সম্মেলন ও ইস্ট এশিয়া সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের নোটেও লেখা হয়েছে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ তথা ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী’। এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত শ্রী নরেন্দ্র মোদি’ লেখা নোটটি তার ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন। ওই নোটে ‘আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিট’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক সমালোচনা করেছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।
তিনি এক্সে এক পোস্টে লিখেন, “দেখুন মোদি সরকার কতটা বিভ্রান্ত! ২০তম আসিয়ান-ইন্ডিয়া সম্মেলনে প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত। বিরোধীরা একত্রিত হয়ে নিজেদের ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকার কারণেই এতসব নাটক।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বিজেপির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “অনেক বিরোধী দল ‘ইন্ডিয়া’ নামের জোট গঠন করায় কেন্দ্রীয় সরকার কি দেশের নাম বদলে দেবে? এই দেশ ১৪০ কোটি জনগণের; একক কোনো দলের নয়।
‘যদি জোটের নাম পাল্টে ভারত করা হয়, তাহলে তারা কি ভারতের নাম পাল্টে বিজেপি করবে?’
- আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তখন দেশের নাম পাকাপাকিভাবে ভারত করার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনা হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশনের জন্য কোনো এজেন্ডা ঘোষণা না করায় জল্পনা আরও বেড়েছে।