আর্কাইভ থেকে এশিয়া

পারস্পরিক সহযোগিতাই মানবসভ্যতাকে রক্ষা করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

পারস্পরিক সহযোগিতাই মানবসভ্যতাকে রক্ষা করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
পারস্পরিক সহযোগিতাই কেবল মানবসভ্যতা ও পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে। তাই সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক সংহতি ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সকালে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কনভেনশন সেন্টার ‘ভারত মণ্ডপম’-এ সম্মেলনের প্রথম পর্বের আলোচনা ‘ওয়ান আর্থ’-এ অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্যে মানবতার সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও দারিদ্র দূরীকরণ প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এমন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যার মধ্যদিয়ে দারিদ্র্য নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধ ও সংঘাত মোকাবিলা করার পথ সুগম হবে। সরকারপ্রধান বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সেগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, এই সম্মেলন এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। ‘এই চ্যালেঞ্জগুলোই মানবজাতির শান্তি, উন্নয়ন ও অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য একক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ অপরিহার্য করে তোলে।’ জলবায়ু সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে দায় নগণ্য হলেও এর বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, ‘সে কারণে আমরা এখন সবুজ ও টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছি।’ সম্প্রতি পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা ও অভ্যাস গড়ে তুলতে ভারতের প্রধান নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘লাইফস্টাইল’ আন্দোলনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ বিষয়ক এই আন্দোলনকে সমর্থন করে। বিশ্বব্যাংকের গ্রাউন্ডসওয়েল রিপোর্ট ২০২১ শীর্ষ প্রতিবেদন মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৩৩ মানুষ তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে তাড়িত হবে। প্রতিবেদনটির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি প্রশমনের সুযোগ খুব কম। তাই আমরা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব মোকাবিলায় নানা রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নানাভাবে উদ্বাস্তু হওয়া অসহায়দের সহায়তায় ১৯৯৭ সালে তিনি আশ্রয়ণ বা গৃহহীনদের জন্য আশ্রয় নামে একটি প্রকল্প শুরু করেন। ওই উদ্যোগের আওতায় চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকার প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি ও জমি দিয়ে পুনর্বাসন করেছে। বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত করা।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পারস্পরিক | সহযোগিতাই | মানবসভ্যতাকে | রক্ষা | করতে | পারে | প্রধানমন্ত্রী