সমুদ্রসীমা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি শিপইয়ার্ড করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিগগিরি কোস্ট গার্ডে যুক্ত হবে হোভারক্র্যাফটসহ অত্যাধুনিক নৌযান। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে এ বাহিনীকে। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া-এরশাদ ও খালেদা কেউই সমুদ্রসীমা অর্জনের বিষয়ে কোনো কাজ করেনি। বর্তমান সরকার চায় সমুদ্রের সম্ভাবনা আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ লাগাতে।
তিনি আরও বলেন, বাহিনীটিতে ১৫ হাজার জনবল অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষিত করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করেছে সরকার। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, হোভারক্র্যাফট ও দ্রুতগতিসম্পন্ন বোট যুক্ত হতে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাহিনীটির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। ডাকাত দমন, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং সমুদ্রসীমা রক্ষায় ও মৎস্য সম্পদ আহরণের জন্য কোস্ট গার্ড দায়িত্বশীল। সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য এ বাহিনীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সরকারের সহযোগিতা চলমান থাকবে।
এ বাহিনীর সদস্যদের সততা, নিষ্ঠা ও মানবসেবার ব্রত নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তাসনিয়া রহমান
