পৃথক দুই ঘটনায় রাজধানীর পল্টনের শান্তিনগর ও কদমতলীর পলাশপুরে নারীসহ দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন, মো. খালিদুজ্জামান (৩৯) ও নাজমুন নাহার সাথী (২৬)।
পরে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে খালিকুজ্জামানকে রাত ১২টার দিকে ও নাজমুন নাহার সাথীকে ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খালেকুজ্জামানকে নিয়ে আসা তার খালাতো ভাই ভাই তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার ভাই কিছু করতেন না, বাসায় থাকতেন। তার মা অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে কোনো কিছু বুঝে উঠতে না পেরে তার নিজ রুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, খালেকুজ্জামান মুন্সিগঞ্জ সদর জেলার প্রয়াত আব্দুল মোমেনের সন্তান। পল্টনের শান্তিনগরে বাসবাস করতেন তিনি। তিনি এক ছেলের জনক ছিলেন।
অন্যদিকে, কদমতলীর পলাশপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নাজমুল নাহার সাথীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ভাই আব্দুল লতিফ জানান, আমরা খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে জানতে পারি আমার বোন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছে। পরে আমার বোনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, আমি জানতে পেরেছি খাটের ওপরে তার দুই পা হাঁটু দিয়ে বসা ছিল। এ অবস্থায় সে যে ফাঁসি দিয়েছে আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। আমরা এ মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই। আমার বোন জামাই শনিরআখড়ায় ওষুধের ব্যবসা রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।