আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হেনরির বোলিং তোপে ৩০ বছর পর ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি প্রোটিয়াদের

হেনরির বোলিং তোপে ৩০ বছর পর ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি প্রোটিয়াদের

নিউজিল্যান্ডের একাদশের পেস বোলিং বিভাগের নিয়মিত মুখ ট্রেন্ট বোল্ট। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে  নেই তিনি। বদলি হিসেবে জায়গা পেলেন শেষ পাঁচ টেস্টে না খেলা ম্যাট হেনরি। সুযোগ পেয়েই দাগলেন তোপ। সুইং ও সিম মুভমেন্টের সমন্বয়ে তার ছোঁড়া গোলায় ধসে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। চা বিরতির আগেই প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট হয়ে গেলো প্রোটিয়ারা। টেস্টে কিউইদের বিপক্ষে এটাই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তুলে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের চেয়ে এগিয়ে আছে ২১ রানে।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে গত ৯০ বছরে আগে ব্যাটিংয়ে এত কম রানে গুটিয়ে যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। সবশেষ ১৯৩২ সালে তারা অলআউট হয়েছিলো একশ রানের নিচে। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা করতে পেরেছিলো কেবল ৩৬ রান।

ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে হেনরি নেন ৭ উইকেট। ১৫ ওভার করে ৭ মেডেনসহ তিনি খরচ করেন মোটে ২৩ রান। হ্যাটট্রিক না পেলেও এক ওভারেই ৩ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান এই পেসার। 

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে কাইল ভেরেইনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলার পর শেষ দুই বলে তিনি বিদায় করেন কাগিসো রাবাদা ও অভিষিক্ত গ্লেনটন স্টারম্যানকে। তারা দুজনই ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হেনরির আঘাতের মুখে পড়ে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক ডিন এলগারের উইকেট হারায় তারা। আলগা শট খেলে তিনি ধরা পড়েন তৃতীয় স্লিপে। আরেক ওপেনার সারেল এরউইকে টিকতে দেননি কাইল জেমিসন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা এই বাঁহাতি স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি নিজের প্রথম ইনিংসটিকে।

সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের অন্যতম দুই ভরসা এইডেন মার্করাম ও রাসি ভ্যান ডার ডাসেনকেও থিতু হতে দেননি হেনরি। একই ওভারে তাদেরকে সাজঘরে পাঠান তিনি। ফলে দলীয় ৩৭ রানে পতন ঘটে ৪ উইকেটের।

মধ্যাহ্ন বিরতির পরও বদল ঘটেনি পরিস্থিতির। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারের শেষ বলে টেম্বা বাভুমার উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি। এরপর জুবায়ের হামজা ও ভেরেইন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৮৩ বলে ৩৩ রানের জুটি। হামজা দলের পক্ষে ৭৪ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন। তাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙার পর দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডারও কাঁপিয়ে দেন হেনরি।

ভেরেইনের ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ১৮ রান। রাবাদা ও স্টারম্যান রানের খাতা খুলতে পারেননি। ডুয়ানে অলিভিয়েরকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ইতি টেনে দেন নেইল ওয়াগনার।

ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও টম ল্যাথামের উইকেট খোয়ায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস গড়েন ১০৪ বলে ৭৫ রানের জুটি। অলিভিয়েরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে কনওয়ে  বোল্ড হন ৭৬ বলে ৩৬ রানে। উইকেটে আছেন নিকোলস ৫৪ বলে ৩৭ ও নাইটওয়াচম্যান ওয়াগনার ১২ বলে ২ রানে।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হেনরির | বোলিং | তোপে | ৩০ | বছর | ইতিহাসের | পুণরাবৃত্তি | প্রোটিয়াদের