প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি আবারো বসেছে বৈঠকে। আজকের বৈঠকে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাব পাওয়া নামগুলো থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়।
আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক শুরু হয়।
সূত্র মতে, সার্চ কমিটির আহ্বানে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া ৩২২ জনের নামের তালিকা থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিষয়ে চলছে যাচাই-বাছাই। যেখান থেকে যোগ্যদের খুঁজে বের করবে কমিটি। তবে এর বাইরেও যোগ্যদের খুঁজছে সার্চ কমিটি। যোগ্যদের বাছাই করতে আজ বৈঠকে বসেছে সার্চ কমিটি।
এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দফায় বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এবং রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশিষ্টজনদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। আইন অনুযায়ী, অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম জমা দেবে।
অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য দুইজন করে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে। এই ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসিসহ পাঁচজনকে দিয়ে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে।
এর আগে শনিবার নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
তাসনিয়া রহমান
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্যসম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
তাসনিয়া রহমান