যান্ত্রিক ত্রুটিতে তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবার রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উৎপাদনে যায় এ কেন্দ্রটি। রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গেলো শুক্রবার কেন্দ্রটির ছাই নির্গমন প্রক্রিয়ার ত্রুটিজনিত কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এখন জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে ২৬০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, যান্ত্রিক (কেন্দ্রটির ছাই নির্গমন প্রক্রিয়া) ত্রুটির কারণে শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি সারিয়ে সোমবার আবার উৎপাদন শুরু হয়েছে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের।
এর আগে টারবাইন (বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র) ত্রুটির কারণে ১৬ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। টারবাইন মেরামত শেষে ২০ জুলাই উৎপাদন শুরু হয়।
বর্তমানে কেন্দ্রটিতে কয়লার মজুত থাকলেও মূলত যান্ত্রিক ত্রুটিতে কয়েকদিন পর পর বন্ধ হচ্ছে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এ কেন্দ্রের সমুদয় জ্বালানি কয়লা আমদানি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
গেলো বছরের ১৭ডিসেম্বর রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর ৯ মাসে আটবার বন্ধ হয়েছে এ প্ল্যান্টটি। উৎপাদন শুরুর পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর পর্যায়ক্রমে ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন, ১৩ জুলাই, ১৬ জুলাই, ৩০ জুলাই ও ১৪সেপ্টেম্বর বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আটবারের মধ্যে পাঁচবার বন্ধ হয় টার্বাইন ত্রুটি, বয়লার টিউব লিকেজ, কুলিং হিটার ছিদ্র, হাই প্রেশার স্টিম লিকেজ, অয়েল লিকেজ ও গ্ল্যান্ডফিল লিকেজের কারণে। আর তৃতীয়বার বন্ধ হয়েছে কয়লা সংকটে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসিএল)/মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট/রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালু হয় ২০২২ সালের ১৭ডিসেম্বর। আর ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন চলতি মাসেই হওয়ার কথা আছে। সেপ্টেম্বর মাসের যে কোনো সময় ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।