ডিম, আলু, পেয়াঁজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দাম বাজারে কার্যকর করতে না পারার কথা স্বীকার করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্যে রুপিতে লেনদেন নিয়ে রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
নিত্যপণ্যের বাজারের বিষয়ে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দাম কার্যকরে বাজারে অ্যাকশন শুরু হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
হাতে ট্রিগার আছে কিন্তু গুলি করাটা সমাধান না উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ব্যবসায়ী'হ সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ও সমন্বয় করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডিম আমদানির অনুমতি দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ডিম আমদানির বিষয়টি আগে মাথায় আসেনি।
এ সময় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েকটি ব্যাংকের বাড়তি দামে ডলার বিক্রি করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর আগে উর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে গেলো বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রথম বারের মতো ডিম, আলু ও দেশি পেয়াজ-এই তিন পণ্যের দাম দেয় সরকার। বেঁধে দেয়া দাম অনুযায়ী, প্রতিটি ফার্মের ডিম ১২ টাকা, খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজের দাম হবে ৬৪ টাকা থেকে ৬৫ টাকা।
এ ছাড়া একই দিন সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দামও কমানোর ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পরে সেদিন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য কমায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমানো হয়েছে। ফলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮২৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা করা হয়েছে।