ঢালিউডের আলোচিত-সমালোচিত তারকা দম্পতি শরীফুল রাজ ও পরীমণি। রাজের ফেসবুক থেকে কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁসের পরই তাদের দাম্পত্য কলহ সামনে আসে। রাজ-পরী উভয়ই একে অপরকে নানান বিষয় নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেন। দু’জনের আর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয় বলেও গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তারা। এর আগেও তাদের আলাদা হয়ে যাবার খবর আসে। পরে মিটমাট হযে যায় তাদের ঝামেলা। এরপর ছেলের জন্ম দিনে একসঙ্গে তাদের কেট কাটতে দেখা যায়। ভক্তরা মনে করেছিলেন আবারও জোড়া লেগেছে তাদের সর্ম্পক। কিন্ত জোড়া খুলেই গেলো।
শেষ পর্যন্ত রাজকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন নায়িকা। যদিও এ বিষয়ে নায়ক কিংবা নায়িকা কেউ-ই মুখ খোলেননি। তবে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পরীর আইনজীবী মুহাম্মদ শাহীনুজ্জামান।
নায়িকার আইনজীবী জানিয়েছেন, রাজের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ডিভোর্সের চিঠি দিয়েছেন নায়িকা। নারীর আসক্তি রয়েছে রাজের। এ ছাড়া মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজ না নেয়া ও মানসিক অশান্তি-সহ বিভিন্ন কারণে রাজের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান পরী। আইনজীবী জানিয়েছেন, অন্য নারীদের সঙ্গে বেশ কয়েক বার হাতেনাতে ধরাও পড়েছেন তিনি। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর কার্যকর হয়ে যাবে তাঁদের ডিভোর্স।
গুণিন’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে একে অপরকে মন দেন পরী এবং রাজ। তার পর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে সারেন তাঁরা। বিয়ের ১০ মাসের মাথায় জন্ম হয় তাঁদের ছেলে রাজ্যর। তার পর থেকে অশান্তি লেগে আছে তাঁদের মধ্যে। রাজের দিকে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয় রাজের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও করেছিলেন পরীমণি। কিছু দিন আগে রাজের ফেসবুক থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল নায়িকাদের গোপন ভিডিয়ো। তার পর তাঁদের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়। মাঝে অবশ্য আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে আবার নাকি কাছাকাছি আসছেন তাঁরা। কিন্তু তা যে ঠিক সেই কথাই বোঝা গেলো বিচ্ছেদের খবরে।